বন্যাকবলিত কুমিল্লার বুড়িচং এলাকায় ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধারকাজে যাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১০ ছাত্রকে জিম্মি করার অভিযোগ উঠেছে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে ফেসবুকে এ ধরনের খবর ছড়িয়ে পড়ে। তবে এ ধরনের কোনও ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
শনিবার (২৪ আগস্ট) ভোরে হাসনাত আব্দুল্লাহ রেকর্ড করা ফেসবুক লাইভ ভিডিওতে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বুড়িচংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ জন শিক্ষার্থী গেছেন এবং এরমধ্যে ১০ জনকে জিম্মি করার খবর এসেছিল। বাকি ৪০ জনকে আলাদা করে ফেলা হয়েছে। আমি নিজে কুমিল্লায় আছি। ত্রাণ কুমিল্লা পুলিশ লাইনসে পৌঁছানোর পর দুর্গত এলাকায় বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, কুমিল্লার যে বিষয়টি দাঁড়িয়েছে, স্থানীয় পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওসিকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, খবরটি সাব্বির নামে যার মাধ্যমে এসেছে, তার ফোন নম্বরে রিচ করা যায়নি। এ খবরটির সত্যটা কতটুকু, সেটি নিয়েও আমরা সন্দিহান। ওসি নিজে গিয়েছেন, এখনও এ ধরনের খবর পাওয়া যায়নি। অনেকে ভাবছে, তাদেরকে ডাকাত সন্দেহে এলাকাবাসী হয়তো আটক করেছে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ জন যে এখানে আছেন, সেটিও এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আজও আমরা এখানে আছি। ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলবে।
পাশাপাশি যাদের আটকের কথা শোনা যাচ্ছে, তারা যদি আটক হয়েও থাকে, তাদের মুক্তির জন্য আমরা চেষ্টা করব। অনেকে বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাদের বলব, এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ত্রাণ বিতরণে যাওয়া আরও কয়েক জনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
এ সময় বন্যার জন্য ভারতের বাঁধ খুলে খুলে দেওয়াকে বন্যার জন্য দায়ী করে তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কেমন হবে, এটি তার একটি টেস্ট। কেস এর মাধ্যমে নির্ধারিত হবে, তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কেমন হবে। এ সময় নিশ্চিত না হয়ে ফেসবুকে কোনও তথ্য না ছড়ানোর অনুরোধ জানান তিনি।