রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে লাগা আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৪ জনের নিহতের খবর পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২২ জন। পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন জানিয়েছেন নিহতদের মধ্যে পুলিশের এক সদস্যের মেয়েও রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে বেইলি রোডের ওই ভবনে আগুন লাগে। এতে পুরো ভবনটি পুড়ে যায়।
আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। সেখানে আইজিপি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের একজন সহকর্মীর মেয়ে মারা গেছেন। দোয়া করেন যে ৭৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের জীবন যেন রক্ষা পায়।’
পরে বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইজিপি সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনায় কারও ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে ছাড় দেওয়া হবে না।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি নাশকতা কিনা জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, আমরা বর্তমানে উদ্ধারকাজে জোর দিচ্ছি। বেইলি রোডে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি র্যাব-পুলিশ বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উদ্ধারকাজে কাজ করছে। একইভাবে হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সরা আহত ও দগ্ধদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের একটি রেস্তোরাঁয় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ওই ভবনটি সাততলা। ওপরের তলাগুলোতেও রেস্তোরাঁ এবং তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগার পর তা ওপরের তলাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত লোকজন ওপরের দিকে উঠে যায়। এ সময় ভবন থেকে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে কয়েকজন আহত হন। তাদের মধ্যে ১২ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।