ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে এক ছাত্রের লাশ হস্তান্তরে স্বজনদের কাছে টাকা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় খোকন লাল ও মনসুর আলী নামে দুই কর্মচারীকে আটক করেছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তারা ১০ হাজার টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগে জানা গেছে। শুক্রবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় হাসপাতালের নতুন ভবনের পাশে মর্গে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট যশোরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় একটি ভবনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় আটকে পড়ে দগ্ধ হন সাকিব (১৮) নামে এক শিক্ষার্থী।রাতেই স্বজনরা ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বিকেলে মারা যান তিনি।
নিহত সাকিবের বাবা আলাল উদ্দিনের ভাষ্য, তাদের বাড়ি যশোরের শংকরপুর গ্রামে। সাকিব এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। গত ৫ আগস্ট যশোর চিত্রার মোড়ে জাবেদ টাওয়ারে দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে দগ্ধ হন তিনি। ছেলের লাশ হাসপাতাল থেকে বের করতে গেলে দুই থেকে তিন ঘণ্টা ধরে ঘুরিয়েছে। ট্রলিতে লাশ মর্গে নিতে টাকা দাবি করে ট্রলিম্যান। টাকার বিষয়ে খোকন লালকে দেখিয়ে দেয়।
এদিকে মিরপুরে ভবন থেকে পড়ে নিহত হওয়া শ্রমিক জালালের (৪০) স্বজনদের কাছেও ১০ হাজার টাকা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে খোকন লালের বিরুদ্ধে। তার স্বজন আলমগীর হোসেন অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার ভবনে কাজ করার সময় পড়ে আহত হয় জালাল। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার মারা যান। এরপর লাশ নিতে মর্গে গেলে কর্মচারী খোকন লাল ছাড়পত্র নিতে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে ৮ হাজার টাকায় রাজি হন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সদস্য মাহিম সরকার বলেন, ‘আমাদের এক ভাই যশোরে শহীদ হয়েছেন। তার স্বজনদের হয়রানির খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে তাকে আটকে ফেলেছি। তার কাছে ১০ হাজার টাকার বেশি পাওয়া গেছে। তিনি একজন ক্লিনার।
এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আব্দুর রহমান বলেন, ছাত্র আন্দোলনকারীরা খোকন লাল নামে একজনকে আটক করেছে। নিহতের স্বজনদের কাছে টাকা দাবির অভিযোগ করেছেন তারা। তাদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।