Friday, November 22, 2024

হাসিনার ভারতে অবস্থান দীর্ঘায়িত করা ঠিক হবে না: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, কয়েক সপ্তাহের উত্তাল ছাত্র বিক্ষোভের পর পদত্যাগ করে এবং দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান দীর্ঘায়িত করা ঠিক হবে না।

বুধবার (৭ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস এ কথা বলেছেন।

উত্তাল এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে শত শত মানুষ মারা যাওয়ার পর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্য্যাগ করেন এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে সেদিনই দিল্লির কাছে হিন্দন বিমানঘাঁটিতে পৌঁছান। হাসিনা বর্তমানে একটি ‘সেফ হাউজে’ অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুনঃ  ভারতে লাইভ খবর পড়ার সময় গরমে জ্ঞান হারালেন পাঠিকা

ড. ইউনূস বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের আগে এনডিটিভিকে যে সাক্ষাৎকারটি দিয়েছিলেন, সেই প্রতিবেদনের মধ্যে উঠে এসেছে— শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্য যাওয়ার ও আশ্রয় নেওয়ার পরিকল্পনা বাধাগ্রস্ত হওয়ার পরে ভারতে থাকার সময় বাড়ানো হতে পারে।

আরেকটি প্রতিবেদন অনুসারে, যুক্তরাজ্য কার্যকরভাবে হাসিনাকে আশ্রয় দিতে চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে এবং তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ফিনল্যান্ড সহ অন্যান্য বিকল্পগুলো বিবেচনা করছেন।

এই প্রেক্ষাপটে হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইকোনমিক টাইমসকে বলেছেন, তার মায়ের ভারত ছাড়ার তাৎক্ষণিক কোনো পরিকল্পনা নেই। জয়ের মতে, শেখ হাসিনার অন্য কোনো দেশে যাওয়ার বিষয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুনঃ  যাত্রীবাহী বাস উল্টে দুইজন নিহত

৮৪ বছর বয়সী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে মোট ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বঙ্গভবনে শপথ নিয়েছে। এর আগে বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী এবং হাসিনার কঠোর সমালোচক ইউনূসকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে সুপারিশ করেন।

ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত হাসিনাকে তার প্রয়োজনের সময় সমর্থন দিতে আগ্রহী থাকলেও তাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য আশ্রয় দেওয়া নয়াদিল্লিকে একটি শক্ত অবস্থানে ফেলতে পারে কারণ দেশটি শেষ পর্যন্ত নতুন বাংলাদেশী সরকারের সাথে স্বার্থ সুরক্ষিত করার দিকেই দৃষ্টি দেবে।

আরও পড়ুনঃ  মেহেদির রঙে রাঙা হলো না রীমার

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নেওয়ার পর এখন পরবর্তী ধাপ হবে বাংলাদেশে নতুন নির্বাচন আয়োজন করা।

ভারতের প্রধান উদ্বেগ হলো, ঢাকায় হাসিনার বিরোধীরা নয়াদিল্লির উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য ভারতের হাসিনার দীর্ঘমেয়াদী অবস্থানকে ব্যবহার করতে পারে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ