বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আয়ার থাপ্পড়ে এক ছাত্রী আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেলে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পুলিশ আয়াকে আটক করলেও পরে ক্ষমা চাওয়ায় বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমানুল্লাহ আল বারী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আহত শিক্ষার্থীর নাম নাহিদা সুলতানা। তিনি বরিশাল ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। পরে একই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নাহিদা সুলতানা জানান, তার মা অসুস্থ হয়ে গত ১৮ জুন থেকে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শুক্রবার দুপুরের দিকে শয্যার নিচে পানি পড়ে। তখন ওয়ার্ডের আয়া হ্যাপি আক্তার পানি পরিস্কারের জন্য ৫০ টাকা দাবি করেন। তবে তার কাছে টাকা না থাকায় পানি নিজেই পরিষ্কার করেন তিনি। এতে আয়া ক্ষিপ্ত হয়ে দুই কানে সজোরে থাপ্পড় দেন। এ সময় আয়া বলেন, ‘এটা কি তোর কাজ? এটা আমার কাজ।’
এ সময় ওয়ার্ডে থাকা অন্যরা নাহিদাকে উদ্ধার করে মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করে। এ ঘটনা পুলিশকে জানালে তারা এসে আয়াকে তাদের হেফাজতে নেয়।
কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমানুল্লাহ আল বারী বলেন, ‘আয়াকে হেফাজতে আনা হয়। পরে তার স্বামীসহ পরিবারের সদস্যরা এসে ক্ষমা চেয়েছে। ভুক্তভোগীর পরিবার ক্ষমা করে দিয়েছে।’