Friday, November 22, 2024

যশোরে পুলিশ ফাঁড়িতে পিপিকে পেটালেন আ’লীগ সভাপতি!

আরও পড়ুন

যশোরে পুলিশ ফাঁড়ির মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটরকে পেটালেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন। এ অভিযোগ করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল।

রোববার ৯ (জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে দাবি তার।

মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল যশোর সরকারি সিটি কলেজের নির্বাচিত ভিপি ছিলেন। এছাড়া তিনি জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন।

অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল গণমাধ্যমকে জানান, আইনজীবী সমিতির (২য় ভবন) সামনের ফুটপথে কিছু ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী টেবিল পেতে কাপড় বিক্রি করেন। সেখানে এক ব্যবসায়ীকে জোর করে উঠিয়ে, অন্য একজনকে বসায় শাহীন নামে এক ব্যক্তি। এসময় তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্দেশে তিনি এ টেবিল বসিয়েছেন। এটা কেউ উঠালে তার হাত কেটে নেয়া হবে।

আরও পড়ুনঃ  শাপলা চত্বরে নিহত ৬১ ব্যাক্তির পরিচয় প্রকাশ

এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের একটি পক্ষ পার্শ্ববর্তী পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দেন। এরপর এসআই হেলাল মিমাংসার জন্য শাহীনসহ অন্য ব্যবসায়ীদের ডেকে পাঠান। একইসাথে তাকেও (আওয়ামী লীগ নেতা ও পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান মুকুলকে) ফাঁড়িতে ডেকে নেন। কিন্তু হঠাৎ করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন একদল যুবক নিয়ে ফাঁড়িতে আসেন। তিনি মুস্তাফিজুর রহমান মুকুলকে ধান্দাবাজি করিস উল্লেখ করে মারপিট শুরু করে।

মুকুল আরো জানান, লজ্জা, ঘৃণায় তিনি কাউকে কিছু না বলে বাড়ি চলে যান। কিন্তু মানুষজন ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনে যায়। এরপর তিনি সোমবার(১০ জুন) লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাটি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতাদের অবহিত করেন।

আরও পড়ুনঃ  টঙ্গীতে আগুন, পুড়ে ছাই ৬ দোকান

এ ব্যাপারে যশোর কসবা পুলিশ ফাঁড়ির টিএসআই এসআই রেজাউল করিমের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোছাইন গণমাধ্যমকে বলেন, ফাঁড়িতে ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি গোলযোগ মীমাংসা হচ্ছিল। ফুটপাতে দোকান দেয়া অবৈধ ফলে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই।

অভিযোগের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন গণমাধ্যমকে বলেন, মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল একজন পাবলিক প্রসিকিউটার। তাকে কি কারণে মারবো?। আমি ফাঁড়িতে গিয়েছিলাম দারোগাকে দাঁবড়াতে। মানে ব্যাপার হয়েছে কি অ্যাডভোকেট মুকুল ও বাচ্চু সাহেব ফুটপাত ইজারা দিয়ে খায়।

আরও পড়ুনঃ  ক্যানসারে স্ত্রীর মৃত্যু, হাসপাতালেই নিজেকে শেষ করলেন পুলিশ কর্মকর্তা স্বামী

আমাদের একটা ছেলে (শাহীন) গেছে সেখানে দোকান বসানোর জন্য। মুকুল সাহেব ফাঁড়িতে অভিযোগ দিলে দারোগা সাহেব সেই ছেলেটিকে ডেকে পাঠায়। আমি তাকে ফাঁড়িতে যেতে বলি। কিন্তু মুকুল সাহেব দারোগাকে দিয়ে ছেলেটাকে ভালো মতন পিটিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি জানার পর ওসি এসপিকে জানিয়ে আমি ফাঁড়িতে যাই। পরে ওসি ও অ্যাডিশনাল এসপি ফোন দিয়ে আমাকে জানায় যা হওয়ার হয়ে গেছে আপনি ছেলেটাকে নিয়ে যান, আমরা ওই দারোগার বিরুদ্ধে অফিশিয়ালি ব্যবস্থা নেব। এরপর আমি সেখান থেকে চলে আসি। মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল একজন আইনজীবী আমি ওনাকে কেন মারতে যাবো।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ