এবার সময়ের সাথে সাথে রাফায় আরও আগ্রাসী হয়ে উঠছে ইসরায়েলি সেনারা। গতকাল বৃহস্পতিবারের (৩০ মে) পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাফায়জুড়ে ইসরায়েলের তাণ্ডবে প্রাণ গেছে অন্তত ২১ ফিলিস্তিনির। খবর আল জাজিরার।
এদিকে, হামলা অব্যাহত আছে উত্তর গাজাসহ উপত্যকার অন্যান্য অংশেও। বুরেজি ক্যাম্পে একদিনেই দু’দফা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। প্রাণ গেছে নারী ও শিশুসহ ১১ জনের। নারকীয় এসব হামলায় আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন।
উল্লেখ্য, প্রায় আট মাসের আগ্রাসনে গাজাজুড়ে প্রাণ গেছে ৩৬ হাজার দুশো’র বেশি ফিলিস্তিনির। আহত আরও ৮১ হাজার। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে ১০ হাজারের বেশি মানুষ।
আরও পড়ুনঃ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলের কঠোর নিন্দা
এবার রাফায় ইসরায়েলের চলমান তাণ্ডবের বিরুদ্ধে সরব পুরো বিশ্ব। এই ইস্যুতে বুধবার (২৯ মে) অধিবেশন বসে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে। এসময় রাফায় হামলার কঠোর নিন্দা জানানো হয়। গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের কঠোর সমালোচনা করে উপস্থিত সব পক্ষই।
এ সময় জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সমন্বয়ক টর ওয়েনেসল্যান্ড বলেন, গেল ৭ মাসে ইসরায়েলি হামলার কারণে গাজার মানুষের দুর্দশা চরমে পৌঁছেছে। এরমধ্যে রোববার চালানো হয়েছে ভয়াবহ হামলা। নিরাপরাধ ফিলিস্তিনিরা যখন তাঁবুতে আশ্রয় নিচ্ছিলেন তখন সেখানে ইসরায়েলি হামলা হয় যাতে প্রাণ যায় ৪৫ জনের।
এখানে উপস্থিত যতগুলো পক্ষ আছে সবার কাছে অনুরোধ, বেসামরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর ব্যবস্থা নিন। রাফাসহ পুরো গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্রও। বেসামরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আহ্বান জানানো হয় ইসরায়েলের প্রতি।
এদিকে জাতিসংঘের মার্কিন প্রতিনিধি রবার্ট উড বলেন, ইসরায়েলের নিজের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। কিন্তু বাস্তচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ওপর বারবার বিমান হামলা হচ্ছে। এসব হামলাকে ভুল আখ্যা দিয়েছে ইসরায়েল। আমরা মনে করি, অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়া দরকার তেল আবিবের। ফিলিস্তিনিদের নিরাপরাধ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
এদিকে, গাজায় ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীন। জাতিসংঘে দেশটির প্রতিনিধি ফু কং বলেন, যেহেতু ফিলিস্তিনি ভূমি দখল করে আছে ইসরায়েল; তাই এটা তাদের দায়িত্ব গাজায় ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত করা। আমাদের আহ্বান, যেন অবিলম্বে সব স্থল সীমানা উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।