বেনজীর কিংবা আজিজ। একজন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক আরেকজন সাবেক সেনাপ্রধান। যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহারে করেছেন বিপুল পরিমাণ সম্পদ। সময়ের আলোচিত এই দু’জনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, তা শুধুমাত্র ব্যক্তির বিষয় নয়। সামগ্রিক ক্ষমতা কাঠামো কোনোভাবেই এর দায় এড়াতে পারে না। বিশ্লেষকরা বলছেন, দুর্নীতির চিত্রের এটি ক্ষুদ্রাংশ মাত্র।
রাষ্ট্রের কেন্দ্র থেকে প্রান্ত সবমহলে আলোচনা কীভাবে কী হলো! কেন প্রভাবশালী সাবেক এ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির এমন অভিযোগ সামনে আসছে। কেনই বা (দুর্নীতি দমন কমিশন) দুদক একজনের বিরুদ্ধে নিয়েছে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত?
বিষয়টি নিয়ে রাজনীতির মাঠেও চলছে জোর আলোচনা। বিরোধীপক্ষ বলছে, এর দায় এড়াতে পারে না সরকার। অপরদিকে সরকার বলছে, অপরাধ করলে কেউ আইনের বাইরে নয়।
এ বিষয়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক নুরুল হুদা বলেন, একজন অতি উচ্চ পদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। যা একজন নাগরিক ও সাবেক আইজিপি হিসেবে বিষয়টি নিয়ে আমি বিব্রতবোধ করি। তিনি বলেন, ফোজদারি অপরাধ দমন করা বা তদন্ত করা যদি আপনার কাজ হয়, তাহলে সে ধরনের কাজে আপনি জড়িয়ে যাবেন তা তো হতে পারে না। তিনি আরও বলেন, ব্যক্তির কৃতকর্মের দায় অন্য কেউ নেবে না।
দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা (টিআইবির) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, বিষয়টি ব্যক্তিগত অপরাধ হলেও এর দায় এড়াতে পারে না বর্তমান ক্ষমতা কাঠামো। তিনি বলেন, এটি সামগ্রিক দুর্নীতির ক্ষুদ্রাংশ মাত্র। শেষপর্যন্ত এর গতিপ্রকৃতি কোন দিকে যায়, তাই এখন দেখার অপেক্ষা।