মুন্সিগঞ্জ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে হুমাইরা আক্তার নামে ৭ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার মদিনা বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, সকাল মদিনা বাজার এলাকায় দ্রুতগতি দুটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় রাস্তার পাশে শিশু হুমাইরাকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুটির মা হাবিবা বেগমের সঙ্গে ধাক্কা লাগে দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশা সঙ্গে।
এতে শিশু হুমাইরা মায়ের কোল থেকে ছিটিকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত শিশু হুমাইরাকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় অটোরিকশা দুটি জব্দ করা হয়েছে। তবে দুজন চালক পালিয়ে গেছেন। তাদের আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এ ছাড়া আইনগত প্রক্রিয়া শেষে শিশুটির মরদেহ দুপুরে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মুন্সিগঞ্জে আ. লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, একজন গুলিবিদ্ধ
মুন্সিগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও এক জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন আরও ৬ জন। এর আগে শনিবার (১৩ এপ্রিল) ভোরে সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের ছোট মোল্লাকান্দি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম পারভেজ খান (২০)।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আহম্মেদ গ্রুপ ও মামুন গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। তারা দুই জনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সেই পূর্ব বিরোধের দ্বন্দ্বে শনিবার সকালে ঘুমন্ত অবস্থায় গ্রামবাসীর উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় মৃণাল কান্তি দাসের সমর্থক মামুন গ্রুপের সদস্যরা। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক তৈরি করা হয় পুরো এলাকাজুড়ে। পরে ভাঙচুর চালানো হয় বেশ কয়েকটি বাড়িতে। এতে বাঁধা দিলে গুলি করে আহত করা হয় বেশ কয়েকজনকে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহাগ বলেন, গুলিবিদ্ধদের মধ্যে রাব্বির অবস্থা শঙ্কামুক্ত। তবে পারভেজের অবস্থা মুমূর্ষু। তার ঘারে ও বাম হাঁটুতে গুলি করা হয়েছে। এতে তার জন্য ৪ থেকে ৫ ব্যাগ রক্ত লাগবে। এখান থেকে স্যালাইন দিয়ে তাকে ঢাকায় পাঠিয়েছি।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার এই ঘটনায় শোকের মাতম চলছে নিহতের পরিবারে। স্বজন হারানোর বেদনায় আহাজারিতে ভেঙে পড়েছেন নিহতের বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যরা।
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। দুই জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে শুনেছি। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।