Friday, November 22, 2024

সেনা অভিযানে কেএনএফের ৮ সদস্য আটক, অস্ত্র উদ্ধার

আরও পড়ুন

বান্দরবানের দোপানিছড়াপাড়ায় সেনাবাহিনীর অভিযানে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ৮ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এ সময় বেশ কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বান্দরবান রিজিয়নের ১৬ ইস্ট বেঙ্গলের ধুপানিছড়া পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সুংসাং পাড়া আর্মি ক্যাম্পের মেজর রাজীব।

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কেএনএফ সন্ত্রাসীদের অবস্থানের গোপন খবর পেয়ে এলাকাটি ঘেরাও করে সেনা সদস্যরা। পরে আটজনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯টি এলজি, ১৯টি এলজি কার্টিজ, ২টি মোবাইল ফোন ও ২টি আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  দেশে পুরুষের তুলনায় নারী বেশি

এর আগে, গত ২ এপ্রিল রাতে তারাবিহ নামাজের সময় বান্দরবানের রুমা শাখা সোনালী ব্যাংক ও আশপাশের এলাকা ঘিরে ফেলে শতাধিক সশস্ত্র দুর্বৃত্ত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মসজিদ থেকে ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে ধরে নিয়ে ব্যাংকের ভেতরে মারধর করে তারা। পরে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এ সময় ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১০ পুলিশ ও ৪ আনসার সদস্যকে নিরস্ত্র করে আটটি চাইনিজ অটোমেটিক রাইফেল, দুটি এসএমজি, চারটি শটগান ও ৪১৫ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য আহত হন। এর পরদিন থানচিতে আরও দুটি ব্যাংকে ডাকাতি হয়।

আরও পড়ুনঃ  টাকার বিছানায় শুয়ে আছেন রাজনৈতিক নেতা

এর রেশ কাটতে না কাটতেই ওইদিন মধ্যরাতে আলীকদমের ২৬ মাইল ডিম পাহাড় এলাকায় যৌথবাহিনীর চেক পোস্টে হামলা হয়। সবগুলো ঘটনার সঙ্গেই কেএনএফ জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কেএনএফের সঙ্গে শান্তি সংলাপ চলাকালে সমঝোতা স্মারকের শর্ত অমান্য করে সংগঠনটির সামরিক শাখার সদস্যরা ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা, অস্ত্র ও টাকা লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করায় সরকার ও কেএনএনফের সঙ্গে আলোচনা মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি’।

আরও পড়ুনঃ  জলদস্যুদের মুক্তিপণ দেওয়ার ছবি নিয়ে সন্দেহ নৌ-প্রতিমন্ত্রীর

এই সন্ত্রাসী তৎপরতা প্রতিরোধে সেনাবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবি, এপিবিএন ও আনসার বাহিনীর সমন্বয়ে বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় সন্ত্রাসবিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ