Friday, November 22, 2024

সংখ্যালঘুদের রক্ষার দায়িত্ব আমাদের: শিবির সভাপতি

আরও পড়ুন

সংখ্যালঘুদের উপাসনালয় ও বাড়িঘর রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম।

সোমবার (৫ আগস্ট) রাতে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান।

ছাত্র-জনতার বিজয় নস্যাতে আওয়ামী লীগ চক্রান্ত করছে অভিযোগ করে মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, বিজয়-পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘু ও বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর প্রতি জুলুম-নির্যাতন শুরু করেছে, তাদের আক্রমণ করে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সব জনশক্তি এ দেশের তাওহিদি জনতা, সব মানুষকে সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়ানো, জান-মাল-জীবন দিয়ে হলেও তাদের রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। আমরা আপনাদের পাশে আছি ।

আরও পড়ুনঃ  কাটার পর মাংস ওজন দিয়েছিলেন কসাই জিহাদ

আরও পড়ুনঃ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার আহ্বান সমন্বয়ক আসিফের

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। আজ মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।

আসিফ লেখেন, ‘সারা দেশে স্ব-উদ্যোগে ওয়ার্ডভিত্তিক সাম্প্রদায়িক ‘‘সম্প্রীতি এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা কমিটি’’ গঠনের জন্য ছাত্র-নগরিক অভ্যুত্থানের সকল অংশগ্রহণকারী ও আপামর জনতার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। দ্রুত বাস্তবায়নে এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। দেশ গঠনে সচেষ্ট হোন।’

আরও পড়ুনঃ  প্রয়োজনে শুক্রবারেও স্কুল খোলা রাখা হবে : শিক্ষামন্ত্রী

আফিস মাহমুদ এমন এক সময়ে এ আহ্বান জানালেন যখন সারা দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের ঘরবাড়ি ও ধর্মীয় স্থাপনায় আগুন দেওয়া ও ভাঙচুর করার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়াও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চলছে।

এরই মধ্যে পুলিশ সদর দপ্তরসহ রাজধানীর ১৩টি থানা ও দেশের দুটি কারাগারে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে।

এ ছাড়া রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ৪০ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহত অবস্থায় আনা হয়েছে অন্তত ৩৯৭ জনকে।

আরও পড়ুনঃ  ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলেন মাসুদ পেজেশকিয়ান

গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করেন সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দায়িত্বগ্রহণ করে।

শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পরই সারা দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এরই মধ্যে রাষ্ট্রপতি দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এবং লুটতরাজ ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ