Friday, November 22, 2024

ছাগলকাণ্ডে সেই মতিউরকে ওএসডি

আরও পড়ুন

ছাগলকাণ্ডে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমানকেস ওএসডি করা হয়েছে। আজ রোববার (২৩ জুন) সরকারের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরপি) থেকে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বিস্তারিত আসছে…

আরও পড়ুন: সময় নিয়েও দুদকে যাননি বেনজীর

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজির হননি। বেলা ১১টা ২০ মিনিটি পর্যন্ত তিনি সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে যাননি। বেনজীরের অনুরোধে ১৬ দিন অতিরিক্ত সময় দিয়েছিল দুদক।

তাকে দ্বিতীয়বারের মতো রোববার (২৩ জুন) সকাল ১০টায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকের তদন্ত কমিটির সামনে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

বেনজীরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। একই সঙ্গে তার পরিবারের সম্পদ অনুসন্ধান করছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার মধ্যেই গত ৪ মে সপরিবারে দেশ ছাড়েন তিনি।

দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রোববার হাজির না হলে বেনজীরকে আর সময় দেয়া হবে না। এর আগে ২৮ মে বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ পাঠানো হয়। এতে বেনজীরকে ৬ জুন এবং তার স্ত্রী- সন্তানদের ৯ জুন দুদকে হাজির হতে বলা হয়। যদিও আইনজীবীর মাধ্যমে দুদকে হাজির হতে আরও ১৫ দিনের সময় চান বেনজির।

আরও পড়ুনঃ  ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের মধ্যেই রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী আটক

এর আগে ২৮ মে বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ পাঠানো হয়। সেই নোটিশে বেনজীরকে ৬ জুন এবং তার স্ত্রী ও সন্তানদের ৯ জুন দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ৫ জুন রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের কার্যালয়ে বেনজীরের পক্ষে তার আইনজীবী আরও ১৫ দিনের সময় চেয়ে আবেদন জানান। দুদকের উপ-পরিচালকের বরাবরে সময় চেয়ে আবেদনটি করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী রোববার তাকে দুদকে হাজির হতে বলা হয়।

আরও পড়ুনঃ  নিরবে আপনার ফেসবুক প্রোফাইল ভিজিট করছে কে, জেনে নিন

বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি এবং ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত র‌্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন বেনজীর। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

বেনজীর পরিবারের সম্পদের অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে দুদক। এখন পর্যন্ত যেসব সম্পদ পাওয়া গেছে, তা জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সর্বশেষ বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ঢাকায় আরও আটটি ফ্ল্যাটের খোঁজ পাওয়ার কথা জানায় দুদক। এর মধ্যে ছয়টি ফ্ল্যাট ঢাকার আদাবরের একটি ভবনে। দুটি বাড্ডায়। রূপায়ন লিমিটেড স্কয়ার নামের ১৪ তলা ভবনে অবস্থিত বাড্ডার ফ্ল্যাট দুটি বাণিজ্যিক বা অফিস স্পেস।

বেনজীর পরিবারের নামে ঢাকায় মোট ১২টি ফ্ল্যাটের খোঁজ পাওয়া গেছে। এর আগে গুলশানে চারটি ফ্ল্যাটের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ  উদ্বোধনের ছয় মাস না যেতেই রামমন্দিরে ফাটল

দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন সম্প্রতি বেনজীর পরিবারের আটটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন। পাশাপাশি বেনজীর পরিবারের প্রায় ৭৬ বিঘা (২৫ একর) জমি জব্দ এবং বেসরকারি সিটিজেন টেলিভিশন ও টাইগার ক্রাফট অ্যাপারেলস লিমিটেডের শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে দুই দফায় বেনজীর ও তার পরিবারের নামে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, কক্সবাজার ও ঢাকার সাভারে থাকা ৬২১ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার এবং গুলশানের ৪টি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।

তখন ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও ৩টি বিও হিসাবও (শেয়ার ব্যবসার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে বেনজীর পরিবারের নামে ৬৯৭ বিঘা জমি পাওয়া গেছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ