Friday, November 22, 2024

ঢাকার শীর্ষসন্ত্রাসী জয়ের মালয়েশিয়ায় মৃত্যু

আরও পড়ুন

ঢাকা থেকে পলাতক শীর্ষসন্ত্রাসী খোন্দকার তানভীর ইসলাম জয় মালয়েশিয়ায় মারা গেছেন। ১১ এপ্রিল গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পরে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রফেসর ডক্টর ফরিদা মোহা. নুর।

জানা যায়, নব্বই দশকের আতঙ্ক ‘সেভেন স্টার’ গ্রুপের অন্যতম সদস্য তানভীর ইসলাম জয় দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে ভুগছিলেন। নিয়মিতভাবে তাকে ডায়ালাইসিস করতে হতো। জয় এতদিন তারেক রানা নামে ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছিলেন। কুয়ালালামপুরের একটি ফ্ল্যাটে তিনি দীর্ঘদিন বসবাস করতেন।

আরও পড়ুনঃ  এখন সরকার কী করতে পারে, বললেন ফারুকী

সোমবার (১৫ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্র থেকে তার বোন মালয়েশিয়ায় গিয়ে হাসপাতাল থেকে তার লাশ গ্রহণ করেন। পরে মালয়েশিয়া লাশ বহনকারী গেসকেট কোম্পানি তার লাশ হাসপাতাল থেকে নিয়ে যায় বলে জানা যায়।

একাধিক সূত্র বলছে, শীর্ষসন্ত্রাসী জয় বাংলাদেশে কয়েক ডজন খুন, চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলায় অভিযুক্ত। বাড্ডার রাইন হত্যাকাণ্ডের পর আত্মগোপনে চলে যান জয়। ২০০৫ সালে বাংলাদেশের অনুরোধে ইন্টারপোল ‘রেড কর্নার নোটিশ’ জারি করে তার বিরুদ্ধে।

২০০৬ সালের ১৪ মে বিদেশে কাজের জন্য বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া সংস্থা ‘তুর্কি অ্যাসোসিয়েট’-এর মালিককে আট লাখ মার্কিন ডলার চেয়ে ফোন করে জয়। টাকা না দেওয়ায় ওই সংস্থার অফিসে ঢুকে ছয়জনকে গুলি করে খুন করে জয়ের দলবল। কলকাতায় জয় পাসপোর্ট তৈরি করে তানভীর রানা নামে। ২০০৭ সালে বাগুইআটির চিনার পার্কের একটি বাড়ি থেকে ভারতের সিআইডি জয়কে গ্রেপ্তারের পর এ বিষয়টি ওঠে আসে।

আরও পড়ুনঃ  কখন-কোন পথ দিয়ে আসবে রিমাল? উপকূলে ৮-১২ ফুট জলোচ্ছ্বাস, পাহাড়ে হতে পারে ভূমিধস

সূত্র বলছে, ২০১১ সালে পর্যটক ভিসা নিয়ে জয় পাড়ি জমান কানাডায়। টরোন্টোর শহরতলি আয়াক্সে একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। সেখানে তার প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল ‘এসজে ৭১’। ২০১৮ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকায় ‘বাংলাদেশের শীর্ষসন্ত্রাসী জয়-ই কি কানাডার ব্যবসায়ী তারেক?’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পরই বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। দফায় দফায় কানাডার অভিবাসন দপ্তর তাকে তলবের মাঝেই ওই বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে কানাডা থেকে উধাও হয়ে যান তিনি। তবে ২০১৯ থেকে তিনি মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং থাইল্যান্ডে বসবাস শুরু করেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ